বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গেল সপ্তায় লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বেড়েছে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৪৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
গেল সপ্তায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ৭৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৭৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৬টির, দর কমেছে ৫৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪৪টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ২৩টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২১৪ দশমিক ২০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১০ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৯৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে।
এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ২১ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট ছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৬৫ শতাংশ। এই স্টকে বাজার মূলধন পরিমাণ কমেছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। তবে একটি বাদে বাকী পাঁচ ধরনের সূচক কমেছে।
সিএসইর সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকা বা ৬৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫২টির, দর কমেছে ৪২টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টি কোম্পানির। যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ১ দশমিক ২৪ গুন বেশি হয়েছে।
পাঁচ ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩০৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে। সিএসই৩০ সূচক দশমিক ২১ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, সিএসআই সূচক দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স সূচক ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ হাজার ৩৭১ দশমিক ১১ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৭৩ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৫০ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭৪৮ দশমিক ৭১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ২৩ পয়েন্টে।