দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত এক সপ্তাহে ৮০ লাখ ডলার কমে গেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) ১৪মার্চ গ্রস রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। গত বুধবার তা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ৯৬ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। ডলার ও টাকার অদল-বদল চালু করার পরে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছিলো, তবে তা এখন আবার কমতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস তথা গত জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণপ্রাপ্তির শর্ত হিসেবেই তা করা হচ্ছে। আইএমএফের সদস্যদেশগুলো যদিও ২০১২ সাল থেকে ব্যালান্স অব পেমেন্টস ও বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাবায়ন করে আসছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ পদ্ধতিতে হিসাবায়ন শুরু করতে সময় নিয়েছে প্রায় এক যুগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সোয়াপ পদ্ধতি চালুর পর রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়া আমদানি দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার কমেছিলো। এরপরের সপ্তাহে আরও কিছু কমেছে রিজার্ভ।
বিপিএম-৬ মূলনীতি অনুযায়ী হিসাব করা রিজার্ভও বাংলাদেশের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ নয়। নিট রিজার্ভ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে আইএমএফ থেকে নেয়া এসডিআরসহ স্বল্পমেয়াদি বেশকিছু দায় বাদ দেয়া হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতিতে অবশ্য গত বুধবারের হালনাগাদ তথ্যে দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৫২৪ কোটি ডলার দেখানো হয়েছে। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। ওই সময় গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর পর থেকে তা ধারাবাহিকভাবে কমেছে।