বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে ডলারের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারবে। এর আগের ক্রলিং পেগ ব্যবস্থায় ডলারের মধ্যবর্তীর দাম ১১৭ টাকা, যা ১১৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারতো।
রোববার (১৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিন সভায় আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য একটি ব্যাংক কমিশন গঠন। এ ছাড়া আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি ও সংস্কার বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে তা প্রকাশ করা হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের সংস্কারের বিষয়টি চলে এসেছে। ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কার করার জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের আজকের এ বৈঠকে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির বিষয়টিও উঠে এসেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চাহিদা ও যোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে।
এজন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচনমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একইসাথে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির সুফল পেতে সবাইকে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।