যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশ করতে গিয়ে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ওপর গুলি করা হয়। রোববার ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এফবিআই)।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। সন্দেহভাজন ২০ বছর বয়সী ওই হামলাকারী এরই মধ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এফবিআইয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশের মঞ্চ থেকে মাত্র ১২০ মিটার দূরে একটি বাড়ির ছাদে ছিলেন ওই তরুণ। ঘটনার পর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই হামলা চালানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ওপর গুলি করা হয়। এতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে য়ায়। এ সময় মঞ্চেই রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে বলে ওঠেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট!’ এরপর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার (সিক্রেট সার্ভিস) সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। ওই গাড়িতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর ট্রাম্প এখন ভালো আছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পকে যে রাইফেল দিয়ে গুলি করা হয়েছে তা এআর স্টাইলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। এটি কয়েক সেকেন্ডে ডজন ডজন গুলি ছোড়া সম্ভব।
ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা (সিক্রেট সার্ভিস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় বড় ক্ষতি হয়নি, নিরাপদ আছেন ট্রাম্প।
হামলার পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, গুলিতে আমার ডান কানের উপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটা ঘটনা অবিশ্বাস্য। ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!
ট্রাম্পের ওপর এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। ফেডারেল এজেন্সিগুলো এই হামলার ঘটনার তদন্ত করছে।