আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমসসহ সব খাতে ই-পেমেন্ট চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এমন কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমসসহ সব খাতে ই-পেমেন্ট করার নির্দেশনা আইএমএফ থেকে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ভালোর জন্য বলে সবকিছু। সেসব আমরা দ্রুত করতে পারি না, তাই আইএমএফের একটা তাগিদ থাকে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ বছরের বাজেট পলিসি নির্ধারণে অনেক বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবছর এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশনের জন্য কর আদায়ের একটা চাপ থাকবে এবং একই সঙ্গে কর আদায় সহজীকরণের বিষয়েও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য এই প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ করতে হবে, এখানে অন্যান্য দেশ থেকে আমরা পিছিয়ে আছি।
তিনি বলেন, খসড়া ট্যাক্স আইনেও কর দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণের অনেক বিষয় আনা হয়েছে। ট্যাক্স নেট বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে রিটার্ন ফর্ম সহজ করা এবং অনলাইনে জমা দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছি।
এর আগে মূলধনী বিনিয়োগকে উৎসাহিতকরণ, সম্পদ ও মূলধন পাচাররোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ভবিষ্যতে অধিক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে অপ্রদর্শিত আয়কে সহজশর্তে প্রদর্শনের সুযোগ দিয়ে ধারা ১৯ এএএএএ পুনর্বহাল করার প্রস্তাব করেছে ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশন।
এছাড়া করোনা মহামারি পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ও আয়করের হার করদাতার জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামজস্যপূর্ণ করে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেছে তারা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের প্রভাবে ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে সব ক্ষেত্র ৭.৫ শতাংশ কর্পোরেট কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ২০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানি ২৭.৫০ শতাংশ, তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৩৭.৫০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৪০ শতাংশ, মার্চেন্ট ব্যাংক ৩৭.৫০ শতাংশ, সিগারেট কোম্পানি ৪৫ শতাংশ, মোবাইল অপারেটর যথাক্রমে ৪০ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ কর্পোরেট কর বিদ্যমান রয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন শিপিং এজেন্সি কমিশনের ওপর দেওয়া উৎসে করের হার ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।