বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, 'রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। রাশিয়ার সাথে সমঝোতা স্মারক খাদ্য নিরাপত্তায় সহযোগিতা হবে। শুধু রাশিয়াই নয়, ভারত, মিয়ানমারের সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বাজার আরো সম্প্রসারণে কাজ করছে।
আজ রোববার (১০ মার্চ) সকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং রুশ ফেডারেশনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রোডিন্টোর্গ-এর মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এসব কথা বলেন।
এ সময় ঢাকাস্থ রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্তিতস্কি, সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়ার পক্ষে প্রোডিন্টোর্গ-এর জেনারেল ডিরেক্টর মি. আন্দ্রে গোলভানভ এবং বাংলাদেশের পক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, পিএসসি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ রুশ ফেডারেশনের দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ২২ জুন ২০২৩ তারিখে প্রেরিত একটি নোট ভারবালের মাধ্যমে জানান যে রুশ ফেডারেশনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন যৌথ মূলধনী কম্পানি প্রোডিন্টোর্গ বাংলাদেশে জিটুজি ভিত্তিতে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য যেমন- হলুদ, মটর, ছোলা, মসুর ডাল, সূর্যমুখী তেল ইত্যাদি সরবরাহে আগ্রহ ব্যক্ত করে।
টিসিবি এবং প্রোডিন্টোর্গ ওই সব পণ্য সরবরাহের একটি এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। যেহেতু এমওইউ কোনো চুক্তি নয়, সুতরাং এমওইউ স্বাক্ষরিত হলে পরবর্তী সময়ে পণ্য সরবরাহের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।