আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে আসায় দেশের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহকরা বর্তমানের তুলনায় কম দামে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল কিনতে পারবেন। তবে ডিজেল ও কেরোসিনের তুলনায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম বেশি কমার সম্ভবনা রয়েছে।

জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন(বিপিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপিসির মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জানা যায়, গত ১ জুন থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। আর প্রতি লিটার অকটেন ১৩১ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রোল ১২৭ টাকা দরে বিক্রি হয়ে আসছে।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে দেশেও কমানো হবে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে সেটাও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যে কারণে আগামী মাসে জ্বালানি তেলের দাম বেশ খানিকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে ডিজেল ও কেরোসিনের তুলনায় অকটেন ও পেট্রলের দাম কমবে বেশি। সূত্র জানিয়েছে, অকটেন ও পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। আর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত কমতে পারে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত অকটেনের তুলনায় ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেলে তিন থেকে সাড়ে তিন ডলার বেশি। যে কারণে ডিজেলের দাম তুলনামুলক কম কমানো হবে।