আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। গত ৩ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এ প্রত্যাশায় ডলারের দর বেড়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত হ্রাস পেয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম কমেছে ১ দশমিক ১২ ডলার বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮২ ডলারে।
অন্যদিকে, একই কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ০২ ডলার বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৮ ডলার ১৪ সেন্টে।
আগের কর্মদিবসে (বুধবার) উভয় বেঞ্চমার্ক দাম হারায় ২ শতাংশের ওপরে। গত মার্চের শেষদিকের পর যা সবচেয়ে কম।
চলতি সপ্তাহে ইউএস ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকের পর তা সেরা সপ্তাহ। ফলে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে তেল কেনা ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, আগামী মে মাসে সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও। অন্যান্য ব্যাংকও একই পদক্ষেপ নিতে পারে।