চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীরা ১০৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এরপরই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলোচ্য সময়ে দেশটি থেকে প্রবাসীরা ৯২ কোটি ডলার পাঠিয়েছে।
এ তালিকার শীর্ষ তিনে রয়েছে সৌদি আরব। এ দেশ থেকে প্রবাসীরা প্রায় ৮৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে- মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলো ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ আগরে বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো ছিলো। একই ধারা অভ্যাহত থাকায় সদ্য সমাপ্ত এ মাসে ২৪০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। আবার বৈধ পথে ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এতে রেমিট্যান্স আসার গতি বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গত দুই বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর রিজার্ভ বাড়বে বলে আশ্বাস দেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ডলারের দর ১২০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও একটু করে বাড়ছে।