আদালতে সুষ্ঠু বিচার পাননি পাকিস্তানে জেনারেল জিয়া-উল-হকের সামরিক শাসনামলে ১৯৭৯ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টো। বুধবার এমন পর্যবেক্ষণ জারি করেছেন পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট। খবর জিইও নিউজ।
লিখিত পর্যবেক্ষণে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, লাহোর হাইকোর্ট ও পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টে ভুট্টোর বিচার প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকারের শর্তগুলো পূরণ হয়নি। এছাড়া এ বিচারে পাকিস্তান সংবিধানের ৪ ও ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বিবৃত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসাসহ ৯ বিচারকের বেঞ্চে প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্সের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বেঞ্চে আরও ছিলেন- বিচারপতি সরদার তারিক মাসুদ, বিচারপতি সৈয়দ মনসুর আলি শাহ, বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি, বিচারপতি আমিন-উদ-দীন খান, বিচারপতি জামাল খান মন্দোখেল, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার, বিচারপতি সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি এবং বিচারপতি মুসাররাত হিলালি।
আদালতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকদের মতামত তুলে ধরে ইসা বলেন, ‘অতীতের ভুল স্বীকার করা ছাড়া বিচার বিভাগ এগিয়ে যেতে পারে না। আর বিচার বিভাগে অবশ্যই অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা থাকা উচিত। '
পিপিপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ রেজা কাসুরিকে গুপ্তহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মামলায় ১৯৭৮ সালের ১৮ মার্চ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন লাহোর হাইকোর্ট।
পরবর্তী সময়ে ১৯৭৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সেই রায় বহাল রাখেন পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট। সেই বছরই ৪ এপ্রিল ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ মেয়াদে পিপিপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সুপ্রিমকোর্টে একটি আবেদনের মাধ্যমে ভুট্টোর রায়ের বিষয়ে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার এমন পর্যবেক্ষণ জারি করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।