এপ্রিল ২৬, ২০২৪

বাংলাদেশ আগামী জুন মাসে আদানি পাওয়ার লিমিটেড থেকে আরো ৮০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় কোম্পানিটি ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তার প্রথম ৮০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপার-ক্রিটিকাল তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট থেকে সম্প্রতি জাতীয় গ্রিডে ৭০০ মেগাওয়াটের বেশি সরবরাহ শুরু করেছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের গ্রিডে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছ, যেখানে বর্তমান চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের পাশাপাশি আমরা আমাদের নিজস্ব উৎপাদন থেকে বর্তমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করছি। এখন প্রতিবেশী দেশ থেকে প্রায় এক হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।’

এদিকে আদানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদানি ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তার প্রথম ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিট চালু করেছে এবং ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সিইও এসবি খেয়ালিয়া বলেন, ‘গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টটি ভারত-বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের একটি কৌশলগত সম্পদ।’

তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সহজ করবে এবং এর শিল্প ও ইকোসিস্টেমকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। এটি ভারত এবং সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে স্থাপিত সবচেয়ে দক্ষ এবং পরিবেশ-বান্ধব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে চলেছে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা। এটি দেশের প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট, যেটি ১০০ শতাংশ ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজেশন (এফজিডি), এসসিআর এবং জিরো ওয়াটার ডিসচার্জের সঙ্গে প্রথম দিন থেকে তার কার্যক্রম শুরু করেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) ২×৮০০ মেগাওয়াট থেকে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট নেট বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য এপিএল-এর সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেডের (এপিজেএল) সঙ্গে গোড্ডায় সুপারক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্রজেক্টে একটি দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সম্পাদন করেছে। বেসরকারি খাতে ভারতের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই তার দ্বিতীয় ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিট চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে জানানো হয়, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় অবস্থিত আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের (এপিজেএল) ২×৮০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্রকল্পের ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিট ওয়ান বাণিজ্যিক কার্যক্রম অর্জন করেছে।

পরে বাংলাদেশের পক্ষে প্রয়োজনীয় ট্রান্সমিশন ইভাকুয়েশন সিস্টেমটি মার্চ ২০২৩ সালে চালু করা হয়। গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির দুটি ইউনিট রয়েছে, যা ‘আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি’ সমৃদ্ধ। এতে কয়লা ও পানির নির্গমন এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তি রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *