পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে একমাত্র আন অফিসিয়াল টেস্টে ১০ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও ৪-১ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল তাদের। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে টাইগার যুবাদের।
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। বাংলাদেশের দেয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
এদিন বাংলাদেশের ইনিংস গড়ে দিয়েছিল জিসান আলম। তিনি ২৬ বলে ঝড়ো ৫২ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের পুঁজিটাকে দেড়শোর ওপারে নিয়ে যান। যদিও দলের অন্যরা তাকে সঙ্গই দিতে পারেননি। এই ম্যাচে মাত্র ২৪ বলেই নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন এই ব্যাটার।
হাফ সেঞ্চুরির পর তাকে বেশিদূর এগোতে দেননি আহমদ হোসাইন। তার করা ইনিংসের নবম ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিড উইকেট উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন জিসান। তবে ব্যাটে-বলে ঠিক মতো না হওয়ায় সীমানায় ক্যাচ দেন তৈয়ব হাসানের হাতে।
যদিও জিসান এদিন ইনিংসের প্রথম বলেই জীবন পেয়েছিলেন। আমির হাসানের বলে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক মির্জা সাদ। জিসান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও অন্যপ্রান্তে বিপরীত ধর্মী ইনিংস খেলেছেন মইনুল ইসলাম। তিনি ৩ চারে ২১ রান করলেও বল খেলেছেন ৩৩টি। এরপর আরিফুল ইসলামের ২৫ বলে ৩০ ও আশিকুর রহমান শিবলির ১২ বলে অপরাজিত ১৮ রানে শেষ পর্যন্ত মাঝারি পুঁজি পায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে আহমদ হোসাইন দুটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন আমির, আলী আসফান্দ ও মোহাম্মদ তাহির।
লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে পাকিস্তানকে শুরুর দিকেই ধাক্কা দেন বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমন। তিনি প্রথম ওভারের শেষ বলে বিদায় করেন পাকিস্তানি ওপেনার শাহজাইব খানকে। তাকে রানের খাতাই খুলতে দেননি তিনি। অধিনায়ক সাদ এদিন তিন নম্বরে নেমে ১৬ বলে ২৪ রান করে ফেরেন। তাকে আউট করেন আরিফুল। চার নম্বরে নামা তৈয়ব ১৬ রান করতে খেলেন ১৯ বল। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন পাকিস্তানের আরেক ওপেনার শামিল হোসাইন। চতুর্থ উইকেটে তিনি আরাফাত মিনহাসকে নিয়ে যোগ করেন ৫৬ রান। আর তাতেই ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে যায় পাকিস্তানের।
আরাফাতের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস। শামিল শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪৯ বলে ৬৭ রান করে। জয়ের মাত্র ১৫ রানের দূরত্বে এই ওপেনার ফিরলেও কোনো বিপদ হয়নি পাকিস্তানের। আলী আসফান্দ ৪ বলে ৬ রান করে পাকিস্তানের যুবাদের জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।