জামায়াতে ইসলামীর সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদন শুনানির পিছিয়েছে। শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় রিটকারির আইনজীবী সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের কনটেম্পট মামলার শুনানির আগে নিষ্পত্তি চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, যেহেতু এটা মূল মামলা থেকে এসেছে কাজেই আগে আপিল শুনানি নিষ্পত্তি করতে হবে। এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর রিটের শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ।
ওইদিন শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, গত জুলাই মাসে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। এরপর চার মাস পেরিয়ে গেছে। প্রতিপক্ষ বারবার সময়ের আবেদন করেই যাচ্ছে। পরে জামায়াতের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তুহিনের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, কেন বারবার সময় নিচ্ছেন? সময় নিয়ে কোর্টে আসেন না কেন? এখানে সময় নেবেন আর অন্য কোর্টে মামলা করবেন তা হতে পারে না। আমরা সবই সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাই। আমরা শেষবারের মতো সময় দিচ্ছি। এটা মনে রাখবেন, আদালতের হাত অনেক লম্বা। সূত্র রেডিও টুডে।
উল্লেখ্য, এক দশক আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তখনই আপিল করে জামায়াত। সেই আপিলটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় গত ১০ জুন ঢাকায় সমাবেশ করে জামায়াত। এই সমাবেশে আপত্তি জানিয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করেন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের মামলার রিটকারী পক্ষ।