২০২২-২৩ অর্থবছরে জাপানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৩% বৃদ্ধি পেয়ে ১.২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
এ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়কালে এই আয় করেছে বাংলাদেশ। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৮৪৯.৬৪ মিলিয়ন ডলার।
সরকারি তথ্য বলছে, পূর্ব এশীয় দেশটিতে ২০২০ অর্থবছর থেকে দুই বছর আয় কিছুটা কমেছিল।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাপানিদের চাওয়া মতো মান ও দেশে সরকারের দেওয়া প্রণোদনার কারণে গত দশকে পোশাক রপ্তানি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাপানের চীন-প্লাস নীতি ও মূল নিয়মে শিথিলতার জন্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১১ সাল থেকে কারখানায় তৈরি করা পোশাক পণ্য জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া ২০১৪ থেকে রপ্তানি আরও বেড়ে যায়।
২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৯৪৪.৮২ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
জাপানে পোশাক রপ্তানি ২০১৯ অর্থবছরে ১.০৯১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।
জাপানে নিট ও গার্মেন্টস পোশাক পণ্য রপ্তানি ২০১৩ অর্থবছরে ৪৭৮.৪৮ মিলিয়ন ডলার ছিল। যা ২০০৯ অর্থবছরে ছিল ৭৪.৩৩ মিলিয়ন ডলার।
ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আঙ্কটাড) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে টেক্সটাইল ও পোশাক পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলো আসিয়ানের ওপর নির্ভর করে থাকে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও নেপাল জাপানে রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি বা এমএফএন পুরোপুরি পায় না। কারণ জাপান আসিয়ানের অংশ নয়। ফলে তারা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) থেকে উপকৃত হয় না।
এ কারণে পোশাক রপ্তানিতে দেশটিতে ৮.৫-৯% পর্যন্ত শুল্ক দিতে হয় তাদের।