এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে কর্মরত জাপানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। বাংলাদেশে কাজ করছে এমন ৭২ শতাংশ জাপানি কোম্পানি এক বা দুই বছরের মধ্যে তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ করতে চায়।
জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) গুলশান কার্যালয়ে এই জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়।
জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো বলেন, গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোম্পানির মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ২১৪টি জাপানি কোম্পানিও এই জরিপে অংশ নেয়। জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ৬২ শতাংশ জাপানি কোম্পানি ২০২৩ সালে মুনাফা অর্জনের আশা করছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে কর্মরত জাপানি কোম্পানিগুলো বাজারের আকার ও ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রশংসা করেছে। একইভাবে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কোম্পানিগুলোও উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের কোম্পানিগুলোও বর্তমান বাজারের তুলনায় প্রবৃদ্ধির বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে। বাংলাদেশের বাজারেও জাপানি কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।
অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার ৬০ শতাংশ জাপানি কোম্পানি ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে খুবই ইতিবাচক তথ্য দিয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচকের অনুপাত প্রায় একই ছিল।
বাংলাদেশে ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে, তারা এখানকার সাধারণ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট। তাদের মধ্যে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি অসন্তুষ্ট এবং ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশ সামান্য অসন্তুষ্ট। প্রায় ৭৩ শতাংশ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশের জটিল কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়াকে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছে। এর পরে আছে- বিনিময় হারের অস্থিরতা, স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ ক্রয়ে সমস্যা এবং বিদ্যুতের ঘাটতি।