পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘কড়ক সিং’ সিনেমা দিয়ে হিন্দি ছবিতে পা রেখেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান।
তিনি ছবিতে নয়না চরিত্রে অভিনয় করছেন। তারকাবহুল এ ছবিতে আরও আছেন- পঙ্কজ ত্রিপাঠি, পার্বতী, সঞ্জনা সাংঘি প্রমুখ। গত মাসে গোয়ায় ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয় সিনেমাটির। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে।
সিনেমার গল্পে দেখা যায়, এ কে শ্রীবাস্তব (পঙ্কজ ত্রিপাঠি) যিনি রেট্রোগ্রেড অ্যামনেসিয়ার শিকার হয়ে অতীতের বেশির ভাগ স্মৃতিশক্তিই হারিয়ে ফেলেছেন।
এমতাবস্থায় তিনি অতীতের সব কিছুই মনে করার চেষ্টা করেন বিভিন্নজনের দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের নিজ নিজ গল্প শুনে এবং তিনি কিভাবে এ অবস্থায় এলেন তা খোঁজার চেষ্টা করেন। এসবের মধ্যেই একটা স্ক্যামের গল্পও চলে আসে, যে গল্পে ‘কড়ক সিং’ জড়িত। তাহলে কড়ক সিং কি আসলেই স্মৃতিশক্তি হারিয়েছেন? স্মৃতিশক্তি হারালেও আদৌ কি তা ফিরে আসবে? তার কাছে এসে অতীতের ঘটনা বলা মানুষগুলোই বা কারা? সব কিছুর উত্তর রয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে রিলিজ হওয়া এ ‘কড়ক সিং’ সিনেমায়।
জি ফাইভে মুক্তির পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জয়া।
জয়া বলেন, ভালো লাগছে। দারুণ এক ভালোলাগা কাজ করছে। এ ভালোলাগাটা সত্যিই অন্যরকম। শিল্পী জীবনের সুন্দর মুহূর্ত, স্মরণীয় মুহূর্ত। সবার ভালোবাসা নিয়ে এভাবেই অভিনয় করে যেতে চাই।
এই অভিনেত্রী বলেন, শিল্পীর কাজই হলো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা। যখন যে চরিত্রটি করি, তা হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। ওখানেই মনোযোগ দিই। নয়না করার সময়ও তাই হয়েছে। তাছাড়া হিন্দি ভাষার সিনেমা। ভাষাটা আমাকে আয়ত্ত করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে নয়না চরিত্রটি উপভোগ করেছি।
তিনি বলেন, শিল্পীর কাজ অভিনয় করা। তা যেখানেই হোক। যখন যেখানেই সিনেমা করি না কেন, তা সুন্দরভাবে করার চেষ্টাটা অব্যাহত রাখতে চাই। অভিনয়ের প্রাধান্যটাই আমার কাছে আগে। এটার গুরুত্ব বেশি।
এই তারকা বলেন, এভাবেই প্রতিটি চরিত্র হয়ে উঠতে চেষ্টা করেছি। দেবী সিনেমা করার সময় তাকে মনে ধারণ করেছি। বিলকিস চরিত্রটি করার সময়ও একইরকমভাবে চরিত্রটি ধারণ করে অভিনয় করেছি। বিউটি সার্কাস করার সময়ও তাই হয়েছে। পুতুল নাচের ইতিকথা করার সময়ও কুসুম হয়ে উঠতে শতভাগ চেষ্টাটা ছিল। অর্ধাঙ্গিনীর জন্য যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি, তখনো মেঘনাকে মনের মধ্যে ধারণ করেছি। আবার কড়ক সিং করার সময় নয়নাকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছি। শিল্পীর কাজই এটা।