আলু উৎপাদনে দেশের অন্যতম শীর্ষ জেলা জয়পুরহাট। জেলার কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করে অতিরিক্ত উৎপাদন করে ভালো দাম পাওয়ায় এখন বেশ খুশি। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় আগাম জাতের চাষ হওয়া আলুর মধ্যে রয়েছে ক্যারেজ, গ্যানোলা, এস্টোরিক, লাল পাকড়ী ও রোমানা জাত।
জেলায় এবার সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জাত ভেদে প্রতি বিঘা জমিতে এবার আগাম জাতের আলুর উৎপাদন হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ মণ করে। গতবছর এই সময় আগাম জাতের আলু ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এবার তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ পর্যন্ত। ফলে আগাম জাতের আলু চাষে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
সদর ও আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষকরা বর্তামানে আগাম জাতের আলু তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রাম এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি বলে জানান।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, বাজারে যে আলু এখন পাওয়া যাচ্ছে এটা আগাম জাতের আলু। জয়পুরহাটের মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগি। ফলন ও দাম দু’টোই ভালো পাওয়া যায় আগাম জাতের আলু চাষে। সে কারনে জয়পুরহাটে আগাম জাতের আলুর চাষ দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বীজের জন্য কৃষকরা জাতে প্রতারিত না হয় সে ব্যপারে কঠোর মনিটরিংসহ উন্নত জাতের বীজ প্রাপ্তিসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার ব্যবহার করার পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। খবর বাসস।