গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনো সরকার গঠন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই সবকিছুর সংস্কার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের সময় ‘প্রহসনের’ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ভোট নিয়ে খেলা.. হ্যাঁ, না ভোটের মাধ্যমে সেটা শুরু করেছিলো জিয়াউর রহমান। জাতীয় সংসদে ভোট চুরির সংস্কৃতিও সেই শুরু করেছিলো।
সেনাশাসনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া এখন কেউ আর ক্ষমতা নিতে পারবে না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করলে শাস্তি হবে।
উচ্চ আদালতের রায়ের পর সংবিধান সংশোধন করে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোটের চালানো আগুন সন্ত্রাসের কথাও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে আগুন সন্ত্রাস করে। ২০১৮ তেও ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবারই জনগণের ভোট পেয়েই ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের ভোট ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি।
দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার চলার পথ মসৃণ ছিল না। বারবার আমার ওপর আঘাত এসেছে। তারপরেও আমি দমে যায়নি। আমার লক্ষ্য ছিল স্থির। তা হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। কারণ বাংলাদেশের মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করি। মানুষের জন্যই কাজ করি।