দেশ উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালের পর আবারও পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। আর এমন সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইউল হুমকি দিয়েছেন যদি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় তাহলে মিত্রদের নিয়ে এমন জবাব দেওয়া হবে ‘যা আগে কেউ কখনো দেখেনি।’
এছাড়া উত্তর কোরিয়াকে নিষিদ্ধ পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে চীনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইউল বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীনের যে দায়িত্ব রয়েছে সেটি তাদের পূরণ করা উচিত। তিনি হুশিয়ারি দিয়েছেন, যদি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রম চালাতে থাকে তাহলে একটি সময় এই অঞ্চল অস্ত্রে সয়লাব হয়ে যাবে।
তিনি বলেছেন, ‘যেটি সত্যি সেটি হলো উত্তর কোরিয়ার ওপর চীনের প্রভাব আছে। আর চীনের এসব প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার দায়িত্ব আছে। এখন এটি চীনের ব্যাপার তারা কি তাদের প্রভাব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজে লাগাবে কিনা। উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে উদ্বুদ্ধ করার সর্বোচ্চটা দেওয়া উচিত চীনের।'
এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয় যদি উত্তর কোরিয়া নতুন করে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় তাহলে মিত্র জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়ুন সুক-ইউল বলেন, ‘এমন জবাব দেওয়া হবে যা আগে কখনো কেউ দেখেনি।’
‘সপ্তমবারের মতো পরমাণু পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার জন্য খুবই নির্বুদ্ধিতার কাজ হবে’, যোগ করেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক।
এদিকে চলতি বছরে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। গত সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন জানান, তাদের লক্ষ্য হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ দেশ হওয়া। এরমধ্যে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পিয়ংইয়ং।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব নেতাদের যেসব সম্মেলন হয়েছে সেখানে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়াকে আটকাতে তিনি যেন পদক্ষেপ নেন।
জি-২০ সম্মেলনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান জানিয়েছিলেন, তারা চীনের কাছে বার্তা দেবেন উত্তর কোরিয়া যদি তাদের পরমাণু কার্যক্রম চালাতে থাকে তাহলে এ অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হবে। যা চীন কখনোই চাইবে না।
সূত্র: রয়টার্স