কুমিল্লায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মীম আক্তার নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্ধ হয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মহানগর প্রভাতী ট্রেন আটকে রেললাইন অবরোধ করে। পরে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় শিক্ষার্থীরা ১০ মিনিট পর আটকে রাখা মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি ছেড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের রসুলপুর মাজার গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মীম আক্তার রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে রসুলপুর পূর্ব পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলে যাওয়ার সময় রসুলপুর মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল শিক্ষার্থী মীম। এসময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী পর্যটন এক্সপ্রেস একসঙ্গে ক্রস করে। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপরপাশের ট্রেন না দেখায় চট্টলা এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এরপর স্কুল শিক্ষার্থীরা এসে রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেয়। এসময় চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন আটকে রাখে তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের বোঝালে একপর্যায়ে অবরুদ্ধ ট্রেনটি শিক্ষার্থীরা ছেড়ে দেয়। তবে বিচারের দাবিতে স্টেশনে অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করে রেখেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, স্কুলে আসার সময় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মীমের মৃত্যু হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরে চট্টগ্রামের দিকে যাওয়া মহানগর প্রভাতী ট্রেনকে আটকে রেখে বিচার দাবি করে।
ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।