চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় চিনি কারখানায় লাগা আগুন এখনো পুরোপুরি নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। কারখানার যে গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেটি থেকে অন্য কোথাও ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় কারখানায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৪টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছে। যে গুদামে আগুন লেগেছে, সেটি থেকে কালো রঙের লাভার মতো কিছু বের হচ্ছে, যেটি আশেপাশের খাল-নালায় ছড়িয়ে পড়ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু কারখানার ভেতরে আগুন জ্বলছে এবং সেখানে ভেতরে গিয়ে পানি ছিটানো সম্ভব না। তাই হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটানো গেলে দ্রুত আগুন নির্বাপণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। না হয় সহসাই আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হবে না।
এর আগে, সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর পাশে ইছানগর এলাকায় কারখানাটির ইউনিট-১ এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন লাগার পর সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা ও চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাবের একাধিক টিম উপস্থিত ছিল।
আগুনের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রহমানকে প্রধান করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মালেক মুত্তাকিম বলেন, তদন্ত কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চিটি কারখানাটিতে মোট ছয়টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার লাখ টন চিনি মজুত রয়েছে। তবে ইউনিট-১ এ শুধুমাত্র আগুন লেগেছে। সেখান থেকে আর ছড়ায়নি। আগুনে ইউনিট-১ এ থাকা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে। রমজানকে সামনে রেখে যেগুলো ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।