পূর্ব আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় বিশ্বের মোট হাতির এক-তৃতীয়াংশের বাস। সংখ্যার হিসাবে যা এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি। তাই যুগের পর যুগ ধরে দেশটি ট্রফি হান্টিংয়ের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর হান্টিং প্রতিযোগিতা শেষে এসব ট্রফির বেশিরভাগ যায় ইউরোপের দেশ জার্মানিতে। তবে এখন এসব ট্রফি আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে দেশটি। এতেই জার্মানির ওপর চটেছেন বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট। এমনকি জার্মানিতে ২০ হাজার হাতি পাঠানোর হুমকি দিয়ে বসেছেন তিনি। খবর বিবিসির।
বিনোদনের নামে বন্যপ্রাণি শিকারের প্রথা ট্রফি হান্টিং নামে পরিচিত। ট্রফি শিকারিরা সাধারণত বন্যপ্রাণির শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন— মাথা, চামড়া, শিং ও দাঁত ইত্যাদি সংগ্রহ করে পরে নিজেদের বীরত্ব ও সফলতার প্রতীক হিসেবে প্রদর্শন করেন। আর এক্ষেত্রে তাদের কাছে শিকারের জন্য আফ্রিকার বিগ ফাইভ নামে পরিচিত সিংহ, মহিষ, হাতি, চিতাবাঘ ও গন্ডার বেশি জনপ্রিয়।
চলতি বছরের শুরুতে হান্টিং ট্রফি আমদানিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কথা চিন্তা-ভাবনা করার কথা জানায় জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তবে বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগওয়েটসি মাসিসি জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে বলেছেন, জার্মানির এ পদক্ষেপ নিলে তা শুধু বতসোয়ানদের ভুগাবে।
তিনি বলেন, সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কারণে বতসোয়ানায় হাতির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। শিকার করা হলে এ সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমাদের আপনারা বন্যপ্রাণীর সঙ্গে বসবাসের কথা বলেন। কিন্তু জার্মানদেরও উচিত এসব প্রাণীর সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করা।
বতসোয়ানায় বিশ্বের মোট হাতির এক-তৃতীয়াংশের বাস। সংখ্যার হিসেবে যা এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি। হাতির পাল প্রায় সময় লোকালয়ে ঢুকে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে, ফসল খেয়ে ফেলে। এমনকি অনেক সময় হাতির পদতলে পড়ে মানুষও মারা যান।
হাতির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর আগে অ্যাঙ্গোলার মতো দেশে ৮ হাজার হাতি উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে বতসোয়ানা। এছাড়া মোজাম্বিককে আরও কয়েকশ হাতি উপহার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে দেশটি।
বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগওয়েটসি মাসিসি বলেন, আমরা জার্মানিকেও এমন উপহার দিতে চাই। আমি রসিকতা করছি না। এক্ষেত্রে আমি না শুনব না।