ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ দলীয়নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতিশেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূলে অনেকবেশি জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ঘর-বাড়ি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে শুকনা খাবার, পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনে কাজ চলছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বিভাগীয় টিমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য করবে। আবহাওয়া উন্নত হলে তারা সেসব এলাকায় যাবেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য সহায়তা করবেন।
গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে বলেও জানানসেতুমন্ত্রী।
বিএনপি কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কাজই হচ্ছে ফটোসেশন করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেরোজার মাসেও আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছি, আর তারা ইফতার পার্টি করেছে। বিএনপির সাথে আমাদের নীতিগতভাবেই অনেক পার্থক্য আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে বাস্তবতা-ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ভূমিকা রাখলেও, তারা রাখে না। তারা বিরোধীদল হিসেবে তাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব কখনও পালন করেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন,রোহিঙ্গারা মতো বাংলাদেশে এসেছে।শেখ হাসিনা মানবিক সাহায্য করেছেন। তিনি উদারভাবে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমরা দিনের পর দিন, মাসের পর মাসরোহিঙ্গাদের পাশে ছিলাম। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা একদিন, বড় জোর দুই দিন তারা ফটোসেশনের জন্য গিয়ে চলে এসেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এমমোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।