রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মুসা (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (৮ মার্চ) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই-ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।
তিনি বলেন, গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মুসা এইচডিইউতে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ ও ইনহালেশন বার্ন ছিল।
তিনি আরও বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) দগ্ধ অবস্থায় আমাদের এখানে ১১ জন চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি নয়জন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এদের মধ্যে মুসা মারা গেলেন। নিহত মুসার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর সাত মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়।
সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্যমতে, আজ (বুধবার) বিকেলে মমিন উদ্দিন সুমন (৪৪) ও রবিন হোসেন শান্ত (২০) নামে দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আজ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মুসার মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত শতাধিক।
বিস্ফোরণের পর থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি, ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজউক, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইয়ের দল। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সর্বশেষ দুই মরদেহ উদ্ধারের পর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) আক্তারুজ্জামান বলেন, দুপুর ২টার দিকে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে বিস্ফোরিত ভবনটিতে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেই। ভবনটির একদম বেজমেন্ট থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজন নিখোঁজ বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ভবন ও দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হবে।