রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের হতাহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্তির পর বুধবার (৮ মার্চ) বংশাল থানায় এ অপমৃত্যুর মামলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ ((ওসি) মো. মজিবুর রহমান।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন বলেন, আজ (বুধবার) একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস ও ডিএমপির সিটিটিসি তদন্ত করছে। তদন্তে তারা যদি এমন কোনো কিছু পায়, যাতে মনে হয় নাশকতা বা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে তাহলে অন্য মামলা দায়ের করা হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর সাত মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়।
সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্যমতে, আজ (বুধবার) বিকেলে মমিন উদ্দিন সুমন (৪৪) ও রবিন হোসেন শান্ত (২০) নামে দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত ২০ জন ও আহত শতাধিক।
বিস্ফোরণের পর থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি, ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজউক, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইয়ের দল। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সর্বশেষ দুই মরদেহ উদ্ধারের পর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) আক্তারুজ্জামান বলেন, দুপুর ২টার দিকে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে বিস্ফোরিত ভবনটিতে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেই। ভবনটির একদম বেজমেন্ট থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজন নিখোঁজ বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ভবন ও দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হবে।