আকাশপথে গাধার চামড়া পরিবহনের ঝুঁকিকে গুরুত্ব দিয়ে এর মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থা দা ডাংকি স্যাংকচুয়ারির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে এমিরেটস এয়ারলাইন।
এ লক্ষ্যে, উভয় সংস্থা যৌথভাবে এভিয়েশন রিস্ক এন্ড থ্রেট এসেসমেন্ট বিষয়ে একটি অপারেশনাল গাইড তৈরি করেছে। এই গাইডে গাধার চামড়া বানিজ্যে ঝুঁকি এবং দুর্র্ধষ ও সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো বিশদভাবে বর্ননা করা হয়েছে।
ডাংকি স্যাংকচুয়ারির এবং অক্সফোর্ডের সাঈদ বিজনেস স্কুলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর চামড়া সংগ্রহের জন্য ৬০ লক্ষ গাধা হত্যা করা হয়, যার অধিকাংশই আফ্রিকা। পরবর্তীতে এই চামড়াগুলো জাহাজে এবং আকাশপথে বিভিন্ন দেশের রপ্তানি হয়। এসকল চামড়া বিভিন্ন ঐতিহ্যগত ওষুধ প্রস্তুত এবং চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ডাংকি স্যাংকচুয়ারির, অক্সফোর্ডের সাঈদ বিজনেস স্কুল, এবং ওয়াইল্ড লাইফ কনজার্ভেশন রিসার্চ ইউনিটের গবেষণায় দেখা গেছে, গাধার চামড়া পাচারের সাথে অন্যান্য বেআইনী বন্য প্রাণীর পাচারের এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের যোগসূত্র রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত এবং হাইজিন বিহীন এজাতীয় বানিজ্যে বিশ্ব জীব সুরক্ষার জন্যও বিপদজনক।
গাধার চামড়া পরিবহণে এমিরেটস ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করছে। নিষিদ্ধ তালিকাভূক্ত বিভিন্ন প্রজাতির প্রানী, হান্টিং ট্রফি এবং এজাতীয় অন্যান্য পন্য পরিবহণে এয়ারলাইনটি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
নিষিদ্ধ তালিকাভূক্ত বন্যপ্রানী বানিজ্য রোধে এমিরেটস নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। কঠোর প্রটোকলের অধীনে যেমন স্ক্রিনিং, ট্রানজিটকালে স্পটচেক, ডকুমেন্টের পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই এবং পারমিটের সত্যতা নিশ্চিতসহ অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। অধিকন্তু, চোরাচালানকৃত বন্যপ্রানী সনাক্ত এবং প্রতিবেদন প্রেরণ বিষয়ে এমিরেটসের সংশ্লিষ্ট এমপ্লয়ীরা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন।