গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন ধরে শিশুসহ অন্তত ৩২ অগ্নিদগ্ধকে ভর্তি করা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের দেখতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবার বিষয়ে বোর্ড সভা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় সামন্ত লাল সেন রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। কতজন শিশু, কতজনের অবস্থা বেশি গুরুতর, কতজন আইসিইউ, এইসডিইউতে আছে- সেসবেরও খোঁজ নেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় তিনি নিজে বহন করবেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করেছেন।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতো করে আমাদের সবাইকে চিন্তা করতে হবে।
‘অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশংকাজনক। আমরা কিছু রোগীকে হয়তো বাঁচাতে পারবো না। কিন্তু কোনো রোগীর প্রতি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টার যেনো অবহেলা না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে,’ ডাক্তারদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ভর্তি থাকা গাজীপুরের ৩২ অগ্নিদগ্ধের মধ্যে ৫ জন আইসিইউতে এবং ২ জন রয়েছেন এইচডিইউ। ১০ ভাগ পুড়ে গেছেন এমন রোগী একজন, ৯৫ ভাগ পুড়ে যাওয়া রোগী তিনজন, এবং ৫০ থেকে ১০০ ভাগ পুড়ে যাওয়া রোগী রোগী আছে ১৬ জন।
বুধবার বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকের তেলির চালা এলাকার একটি বাসার এক ভাড়াটিয়া নতুন গ্যাস সিলিন্ডার এনে কমপ্রেসর লাগানোর চেষ্টা করলে সিলিন্ডারের পিন ভেঙ্গে গ্যাস বের হতে থাকে।
দ্রুত সিলিন্ডারটি বাসার পাশের সড়কে ফেলে দেন তারা। সেখানকার লাকড়ির চুলার আগুন সিলিন্ডার গ্যাসের সংস্পর্শে আসলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এই আগুন সড়কের ছড়িয়ে পড়লে সড়ককে চলাচলকারী ও আশপাশের বাসাবাড়ির নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩২ জন দগ্ধ হন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক (রেডিওলোজি) ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক (এনেস্থিসিওলজি) ডা. আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হাসিব রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হোসাইন ইমাম (ইমু) সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকবৃন্দ।