প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। অনেকে গরমের কারণে নাস্তা খেতে পারে না। পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, সুস্থতার জন্য সকালের নাস্তা খাওয়া জরুরি। সকালের নাস্তা না খেলে শরীর খারাপ হয়ে যায়।
সকালের নাস্তায় যে খাবার পুষ্টি জোগাবে
আঁশযুক্ত খাবার বা ফাইবার জাতীয় খাবার সুস্থতার জন্য জরুরি। তবে মনে রাখবেন, বেশি আঁশযুক্ত খাবার অনেকেই এই গরমে হজম করতে পারে না। যেমন- ওটস, দুধ, ভুষিসমেত আটার রুটি ইত্যাদি। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।আসলে গরমের সময় সবচেয়ে সঠিক নাস্তা হলো নরম খাবার। যেমন- নরম ভাত, পান্তা ভাত, চিড়া, সাগুদানা, সুজি, পাতলা সাদা আটার রুটি ইত্যাদি কার্বহাইড্রেট।
প্রোটিন হিসেবে এই গরমে দুধের চেয়ে ছানা বা দই ভালো। এছাড়া সিদ্ধ ডিমও আপনার নাস্তায় রাখতে পারেন। যাদের রুটি দিয়ে ডাল খাওয়ার অভ্যাস, তারা এই গরমে সকালের নাস্তায় ডাল এড়িয়ে চলুন। ডাল অনেক সময় হজমে সমস্যা করে, বিশেষ করে বুট বা ছোলার ডাল।
সবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হলেও সকালে বেশি সবজি খেলে অনেকে হজম করতে পারে না। তাই গরমের জন্য সকালে পেঁপে, চালকুমড়া, ঝিংগা, চিচিঙ্গা ইত্যাদি নরম ও সহজ পাচ্য সবজি ভালো। চর্বিযুক্ত খাবার গরমে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার হলো ডিম অমলেট, পরোটা, লুচি ইত্যাদি।
ফ্রুট ফ্রেশ জুস বা স্মুদি গরমের জন্য উপকারী। মাঠা বা ঘোল ঘরে বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পাকা নরম ফল খেতে পারেন। যেমন- পেপে, বাঙ্গি, কলা, আম ইত্যাদি সকালের ফল হিসেবে ভালো। সকালে টক ফল বা জুস খেতে পারেন। সকালের নাস্তাতে চা বা কফি এড়িয়ে চলা উত্তম। এই গরমে সকালের নাস্তার পর পানীয় হিসেবে বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি বা ঘরে বানানো ফলের জুস সবচেয়ে ভালো।
গরমে সুস্থ থাকতে দিনের শুরু যেন হয় ঠিকঠাক। সুষম, সহজ পাচ্য ও ঘরে বানানো খাবারের কোনো বিকল্প নেই। নাস্তা খেয়ে বের হওয়ার সময় পানির বোতল আর ছাতা নিতে ভুলবেন না।