মার্চ ২৮, ২০২৪

গরমে আমরা বেশিরভাগ মানুষেই বাড়িতে সহজপাচ্য খাবার হিসেবে ডাল খাই। বাড়িতে বানানো ডাল সবচেয়ে বেশি উপকারী। প্রতিদিন ডাল খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। খাবারে ডাল না থাকলে খাবার অসম্পূর্ণ মনে হয়। প্রতিদিন খাবারে ডাল ও সবজি তৈরি করেন অনেকে। সব ডালই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে ঋতু অনুযায়ী ডাল বেছে খেলে উপকার বেশি। এতে শরীরে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়।

গরমে কোন ডাল খাবেন না?

গরমেও কিছু ডাল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। গরমে অড়হড় ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই ডাল খুব ভারী এবং এটি পেট খারাপ করে। গ্রীষ্মের মরশুমে এটি কম খাওয়া উচিত। গরমে ছানা ও মটর ডালও কম খেতে হবে। এই ডালগুলি গ্যাস তৈরি করে।

কখন ডাল খাবেন না?

গ্যাসের সমস্যা থাকলে রাতে ডাল খাওয়া উচিত নয়। গ্রীষ্মকালে মুগ এবং মসুর ডাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই দুটি ডাল মিশিয়ে খেলে তা আরও বেশি উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। মুগের ডাল মিশ্রিত করে খেলে পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে। আয়ুর্বেদে মুগ ও মসুর ডালকে হালকা ও পাচ্য বলে মনে করা হয়।

মুগ-মসুর ডাল খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। এর উপকারিতা কি জানেন?

অত্যধিক গরমে মুগ-মসুর ডাল মিশিয়ে খান

যদিও যে কোনও ঋতুতে মুগ-মসুর ডাল খেতে পারেন, কিন্তু গ্রীষ্ম ও বর্ষায় এই ডাল খুবই উপকারী। গরমে এই দুটি ডাল মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে পেট ভালো থাকে। গরমে পরিপাকতন্ত্র খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। খাবার দ্রুত হজম হয় না। এমন অবস্থায় মুগের ডাল ও মসুর ডাল খাওয়া খুবই হজম হয়। গরমে প্রচুর মুগ ডাল খাওয়া উচিত। এই মসুর ডাল ঠাণ্ডা এবং স্বাদে হজম হয়।

মুগ ও মসুর ডালের উপকারিতা

১) সুস্থ ও সুস্থ থাকতে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুগ ও মসুর ডাল খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়।

২) এটি শরীরে চুল, নখ এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

৩) প্রতিদিন এক বাটি মুগের ডাল মিশিয়ে খেলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে যে ডাল

৪) এই মিশ্রিত মসুর ডাল খেলে শরীরে কোলেস্টেরল কমে যায়।

৫) একজন ডায়াবেটিস রোগীরও প্রতিদিন মুগ-মসুর ডাল খাওয়া উচিত। এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬) মুগ মসুর ডাল কম চর্বির ভালো উৎস, যা খেলে হৃদরোগ দূরে থাকে।

৭) এই ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগ কমায়।

৮) মুগের ডাল মিশ্রিত মসুর ডালেও রয়েছে ভালো পরিমাণে আয়রন এবং জিঙ্ক, যা আপনার শরীরে রক্ত বাড়াতেও কাজ করে। এবং পেশী সুস্থ রাখে।

৯) হজম না হওয়ার কারণে বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, গ্যাস, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা থাকলে মুগের ডাল হালকা করে খেতে হবে।

১০) এই ডাল হজমযোগ্য এবং পেটে আরাম দেয়। মুগ-মসুর মিশ্রিত মসুর ডাল শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের খাওয়ান যাদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল। সূত্র- আজতাক বাংলা

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *