ধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গণভবনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান জাদুঘর দ্রুত নির্মাণে পরামর্শ দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবন পরিদর্শনে গিয়ে এই পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়। সেখানে আরও বলা হয়, ৫ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কিছু পরেই লক্ষ-হাজার প্রতিবাদকারী গণভবনে ঝড় তুলেছিল। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে খুনি হাসিনার কাজের প্রতিবাদপত্র লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনের সময় বলেন, আয়নাঘর (মিরর হাউস), যেখানে হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থা শত শত বৈষম্যমূলক এবং বিরোধী কর্মীকে গোপনে আটক করেছে, তার একটি প্রতিরূপ গণভবনের মুসুইমে নির্মাণ করা উচিত। তিনি বলেন, গোপন বন্দিদের ওপর আয়নাঘরে যে অত্যাচার হয়েছে তা দর্শকদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত ।
অধ্যাপক ইউনূস পরামর্শদাতাদের জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেছেন। তিনি তাদেরকে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও তিন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে হাসিনা শাসনের অপকর্ম জাদুঘরেই সাবধানে সংরক্ষণ করা হবে। তিনি জানান, তারা অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে, কীভাবে তারা তাদের বিপ্লব ও বিদ্রোহ স্মরণে স্মারক নির্মাণ করেছে।