গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে জেলার প্রধান চেঙ্গী ও মাইনীসহ ছোট বড় নদী গুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরপরও অসংখ্য পরিবার ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পদদেশে বসবাস করছেন। আর এসব বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া জানান, পাহাড় ধস হলে জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলছি। যদিও তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে আগ্রহী নয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩৫ হাজার পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান জানান, পর্যাপ্ত খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা ও পাহাড় ধসে জানমালের নিরাপত্তায় যে বিষয়গুলো নজরে এসেছে আমরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।