বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৩ মার্চ) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদি হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।
এজাহারে বলা হয়, আসামি জালিয়াতি প্রতারণা করে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির ৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪০৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এজাহারে আরও বলা হয়, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ও এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মনোনীত একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি রাজধানীর পল্টন থানায় জিডি করেন। জিডির অভিযোগটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় পল্টন সেটি অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে পাঠায়। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি দুদক উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান ও উপপরিচালক মো. তানজির হাসিব সরকারের সমন্বয়ে গঠিত টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করে।
অনুসন্ধানে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে বিনিযোগকারীদের অনুমতি ব্যতীত তাদের শেয়ার বিক্রির মোট ৬৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৪ টাকা অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থ আত্মসাতের ওইসব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, সিকিউরিটিজ আইন-কানুন লঙ্ঘন করে ট্রেড মেশিনে ডুপ্লিকেট ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে সেটেলমেন্ট ডিফল্টের দ্বারা অবৈধভাবে গ্রাহকদের শেয়ার বিক্রি এবং হিসাব হতে টাকা আত্মসাৎ করেন মো. শহিদুল্লাহ।
অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মার্চেন্ট এবং ব্রোকার হিসেবে ব্যবসা করে আসছিলেন। ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত হিসাব তিনি এককভাবে পরিচালনা করতেন।