বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের বাসায় চুরির মামলায় আরেক ক্রিকেটারের স্বামী মো. আল-আমিন দেওয়ান আযান ও আব্দুর রহিম মিলনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামি আযানের তিন দিন এবং মিলনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মশিউল আলম ভূঁইয়া আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আসামি মিলনের পক্ষে তার আইনজীবী নুরুল ইসলাম দিদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
তিনি বলেন, আসামি আযান তার বোনের মোবাইল বলে মিলনের কাছে বিক্রি করেন। ছবিও দেখান তিনি। মিলন সরল বিশ্বাসে মোবাইলটি কেনেন। তিনি মোবাইল চুরিতে জড়িত নন।
আদালতে আসামি আযানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বাসা থেকে দুটি আইফোন ও ওয়ারড্রবের তালা ভেঙে সাড়ে ৩ হাজার ডলারসহ মোট সাড়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি ক্রিকেটার স্বর্ণা আক্তার মামলা দায়ের করেন। এরপর দিনাজপুর থেকে আযানকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া আইফোনসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় চুরি হওয়া মোবাইলের ক্রেতা মিলনকেও।
মামলায় স্বর্ণা আক্তার অভিযোগ করেন, ২৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আযানকে বাসায় রেখে তিন রুমমেটসহ রাজধানীর তেজকুনিপাড়ায় খেলাঘর মাঠে অনুশীলন করতে যাই। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযুক্ত আল-আমিন দেওয়ান আযান মাঠে এসে আমাকে বলেন, ‘তোমার মোবাইল ফোন কোথায়?’ আমি বলি, ‘আমার ব্যাগে’। এরপর তিনি আমার ব্যাগ থেকে দুটি মোবাইল ফোন বের করে কিছুক্ষণ ছবি উঠিয়ে বেলা ১২টার দিকে মাঠ থেকে চলে যান। অন্য রুমমেটের ফোন থেকে দুটি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাই। মাঠের অনুশীলন শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি, ফ্ল্যাটের মূল দরজা লক করা। বাসার দারোয়ানকে ডেকে তালা ভেঙে দরজা খুলে বাসার ভেতর প্রবেশ করে দেখতে পাই, রুমের সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।