কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার প্রাচীনতম মসজিদ নূরমানিকচর মসজিদ, যার বয়স প্রায় পাঁচশত বছর। মসজিদটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের নূরমানিকচর বাসষ্ট্র্যান্ড থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। মসজিদটি প্রাচীনতম হওয়ায় এটি দেখার জন্য বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায়। মসজিদটি এক স্থাপত্য নিদর্শন। মসজিদটির অভ্যন্তর, বহিঃপার্শ্ব, ছোট বড় ১১টি গম্বুজে রয়েছে।
জানা যায়, পঞ্চাদশ শতাব্দীর আগে মরহুম সৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেব এ মসজিদ নির্মাণ করেন। সৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেবের নামানুসারে ওই গ্রামের নামকরণ করা হয় নূরমানিকচর গ্রাম। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ্য ০৫ ফুট। একসঙ্গে ২০/২৫ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। চুন-সুরকী দিয়ে নির্মীত মসজিদটির ভেতরে অপরুপ কারুকাজ রয়েছে। মসজিদের ছাদে রয়েছে ১১টি গম্বুজ, এর মধ্যে মূল ছাদে রয়েছে ৭টি এবং বাকী চারটি গম্বুজ রয়েছে মসজিদের চারকোণায়। নূরমানিকচর মসজিদটি কুমিল্লা শহর থেকে পশ্চিমে ১৮ কিলোমিটার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরমানিকচর বাস স্টেশনের আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। খবর বাসস।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নূর আহম্মেদ আল কাদেরী পীর সাহেবের বংশধর আব্দুল আলীম কাদেরী বলেন, সৈয়দ নূর আহম্মেদ আল কাদেরী পীর সাহেব একজন ধর্মপ্রাণ ও দানবীর ছিলেন। তিনি মসজিদ ছাড়াও ডাকঘর, মক্তব, পাঠশালা নির্মাণ ও দিঘী খনন করে গেছেন। তিনি দাবি করেন যে, মসজিদটি রক্ষা করতে হলে সরকারীভাবে সংস্কার করতে হবে।