বৃষ্টি এবং উজানের প্রভাবে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপরে উঠে এবং প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার সহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, তবে এই নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানান।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সকালে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এছাড়া, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকার নবুর হোসেন জানান, হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি আজ সকাল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে অনেক ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করেছে। রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার ধরলা নদীর অববাহিকার ছগারপাড় গ্রামের মালেক মিয়া জানান, সকালে ধরলা নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেনি।
রাজারহাট উপজেলার তৈয়ব খা গ্রামের তিস্তা নদীর অববাহিকার বাসিন্দা আব্দুল করিম জানান, যেভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বড় বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। আমরা নদী পাড়ের মানুষরা আতঙ্কে রয়েছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অন্যন্য নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।আগামী ৪৮ ঘন্টায় ধরলা ও দুধকুসারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।