ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরে একটি বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৩ জন। হতাহতরা সবাই হিন্দু তীর্থযাত্রী বলে জানানো হয়েছে।
তীর্থযাত্রীদের নিয়ে বাসটি একটি মন্দির থেকে ফেরার পথে বন্দুকধারীদের হামলার মুখে পড়ে এবং এতে বাসটি খাদে পড়ে গেলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারত-শাসিত কাশ্মিরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাসে বন্দুকধারীদের সন্দেহভাজন হামলা ঘটনায় বাসটি খাদে পড়ে যায় এবং এতে কমপক্ষে ৯ জন নিহত এবং আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রোববার ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রিয়াসি শহরের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। হামলার শিকার হওয়ার আগে বাসটি ওই এলাকার একটি জনপ্রিয় হিন্দু মন্দির থেকে ফিরছিল বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
রিয়াসি জেলার পুলিশ প্রধান মোহিতা শর্মা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বন্দুকধারীরা বাসটিতে অতর্কিত হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলি চালায়। পরে বাসটি একটি খাদে পড়ে যায়, যার ফলে ৯ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু এবং আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে এবং আহতদের নারায়ণ হাসপাতাল ও রিয়াসি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অবশ্য হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি। ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিশেষ মহাজন জানিয়েছেন, বাসটি হিন্দু মন্দির মাতা বৈষ্ণো দেবীর বেস ক্যাম্পে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়।
অন্যদিকে পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মিরের রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীবাহী একটি বাসে সন্ত্রাসীদের আক্রমণের পর ৯ জন নিহত এবং আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
কাশ্মিরে জাফরান বাঁচাতে বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বাসটি শিব খোরি গুহা মন্দিরে যাওয়ার পথে হামলার কবলে পড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে বাসটি খাদে পড়ে যায় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মোহিতা শর্মা জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণের ফলে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং এতে করে বাসটি খাদে পড়ে যায়। যাত্রীদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিজ্যুয়ালে দেখা গেছে, পাহাড়ের ধারে কিছু মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং পাশেই ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি পড়ে আছে। স্থানীয়দের উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করতে দেখা গেছে।
দুর্ঘটনার পরপরই অবশ্য পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।