শ্রমিক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পোশাকশিল্পে চলমান অস্থিরতা না কাটলে আগামীকাল রোববার থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন কারখানা মালিকরা।
শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কারখানা মালিক ও সংগঠনের নেতাদের বৈঠক হয়। সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাড়া পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারাসহ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্থিরতা না কাটলে আগামীকাল থেকে তারা কারখানা বন্ধ রাখবেন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) বিজিএমইএর সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
সভায় সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, শ্রমিকদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তবে সমাধান না হলে শিল্পের অস্থিরতা নিরসন সম্ভব নয়। পোশাক শিল্পকে রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর মতে, পোশাক শিল্পে চলমান এ অস্থিরতার জন্য মূলত তিনটি কারণ দায়ী। এগুলো হলো- বহিরাগতদের আক্রমণ, শ্রমিকদের যৌক্তিক ও অযৌক্তিক দাবির সমন্বয়ে অস্থিরতা ধরে রাখা হচ্ছে; ঝুট ব্যবসার আধিপত্য। তবে বহিরাগতদের আক্রমণ এখন আর এটা হচ্ছে না।
আর শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতেই একটি চক্র শিল্প কারখানায় অস্থিরতা তৈরি করছে। এখন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উপদেষ্টাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়া জরুরি।