এপ্রিল ১৮, ২০২৪

কানাডার নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের দাবানল ভয়ানক থেকে আরও ভয়ানক হচ্ছে। দাবানলের কারণে ওই প্রদেশের অনেক বাসিন্দা সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে পানি, আকাশ শক্তিসহ সব উপায় ব্যবহার করা হলেও এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। শুধু তাই নয়, সামনের কয়েকদিন এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

বুধবার পর্যন্ত নোভা স্কোটিয়ায় ১৩টি দাবানলের আগুনে পুড়েছে ২০ হাজার হেক্টর অঞ্চল। ১৩টি দাবানলের মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

প্রদেশটির সবচেয়ে বড় শহর হ্যালিফেক্সের ১৮ হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবানলের ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে ২০০টিরও বেশি অবকাঠামো। যার মধ্যে বেশিরভাগই হলো বাড়ি-ঘর। তবে এখন পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

উষ্ণ, শুষ্ক এবং ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে টানটালোন কমিউনিটির কাছে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে ৮৩৭ হেক্টর। ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে। এর অর্থ হলো ক্লান্ত দমকলকর্মীরা সহজেই মুক্তি পাচ্ছেন না।

হ্যালিফ্যাক্সের আঞ্চলিক ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগের উপপ্রধান ডেভ ম্যালড্রাম জানিয়েছেন, দমকলকর্মীরা গত চারদিন ধরে প্রায় সবকিছু ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

নোভা স্কোটিয়ায় প্রতিবছরই দাবানল দেখা যায়। তবে সেগুলো সাধারণত কয়েকশ একর অঞ্চল পুড়িয়েই নিভে যায়। কিন্তু রেকর্ড ভাঙা ব্যারিংটন লেকের দাবানল ২০ হাজার একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়েছে এবং এটি এখনো ছড়াচ্ছে। নোভা স্কোটিয়ায় এর আগে সবচেয়ে বড় দাবানল দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে। সে বছর ভয়াবহ আগুনে পুড়েছিল ১৩ হাজার হেক্টর অঞ্চল।

আগুন নেভানোর জন্য প্রদেশটির যে সক্ষমতা রয়েছে সেটি দিয়ে এই দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নোভা স্কোটিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের পরিচালক। এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে অবকাঠামো বাঁচানোর বদলে মানুষের জীবন বাঁচানোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।

 

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *