দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। সোমবার বিকেল ৫টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও তার সফর সঙ্গীরা। এই সময়ে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এই সময় কাতারের আমিরকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর কাতারের আমির বাংলাদেশে আসলেন। শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই সফরে বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হবে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক। সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে, সেগুলো হলো - দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি, উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দুদেশের মধ্যকার দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত চুক্তি এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
যে পাঁচটি সমঝোতা সই হবে, সেগুলো হলো শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা সই হবে। পরে দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন আমির।
কাতারের আমিরের নামে ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি পার্ক ও উড়াল সেতুর নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশীর বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সফর শেষে বিশেষ ফ্লাইটে কাতারের আমির ঢাকা ছাড়বেন। এর আগে ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১৯ বছর পর বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে আসলেন।