হিমায়িত চিংড়ি ও কাঁকড়া-কুঁচিয়াসহ অন্যান্য মাছ রপ্তানিতে সহায়তা দিয়ে থাকে সরকার। কাঁকড়া ও কুঁচিয়া (জীবন্ত, হিমায়িত ও সফটসেল) রপ্তানিতে ভর্তুকি পেতে রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়ন সনদপত্রসহ আবেদন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সরকারি সিদ্ধান্তক্রমে হিমায়িত ও সফটসেল কাঁকড়া রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকির আবেদনপত্রের সাথে এখন থেকে বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিবর্তে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্রত্যয়ন সনদপত্র এতদ্সংযুক্ত ফরম দাখিল করতে হবে। একইভাবে কুঁচে ও কাঁকড়া (জীবন্ত) রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকির আবেদনপত্রের সাথে বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রত্যয়ন সনদপত্র দাখিলের শর্ত পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।’
এ নির্দেশনা জারির তারিখ থেকে জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে বর্ণিত নির্দেশনা কার্যকর হবে। আলোচ্য খাতে নগদ সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত সকল এফই সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা যথারীতি অপরিবর্তিত থাকবে।
তবে নগদ সহায়তা পেতে রপ্তানিকারকদের ওই দুই সংগঠনের সনদপত্রের সাথে আবেদনকারীর নাম, ইআরসি নম্বর ও ঠিকানা, বিদেশি ক্রেতার নাম-ঠিকানা, বিদেশি ক্রেতার ব্যাংকের নাম ও ঠিকানা, ইনভয়েস নম্বর ও ইনভয়েসে উল্লিখিত পণ্যের পরিমাণ লিখতে হবে। আবেদনে কোনো প্রকার ঘষামাজা বা সংশোধন করা হলে সেটি বাতিল বলে গণ্য হবে।