সবাইকে আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনারা দেখেছেন সম্প্রতি আমার সঙ্গে মিরাজের একটি কল রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, বিষয়টা খোলাসা করা আমার দায়িত্ব।
আমারও প্রশ্ন কে বিষয়টা ভাইরাল করল। আমি তো করিনি। জানিও না কে করেছে। যার সাথে আমার পুরো কনভার্সেশনটা হয়েছে আমি তাকে ভিডিও কলে ইনভাইট করছি। তখন আপনারা জানতে পারবেন, আসলে ওর সাথে আমার কী নিয়ে আলাপ হয়েছে, যদি আমি মিরাজকে এড করতে পারি ভালো হবে! তখন ভিডিও কলে তামিমের সঙ্গে এড হন মেহেদি হাসান মিরাজ।
মিরাজ: তামিম ভাই আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?
তামিম: ওয়ালাইকুমুস সালাম।
মিরাজ: ভাই আপনার কী মাথা ঠান্ডা হয়েছে?
তামিম: মাথাতো ঠান্ডা হয়েছে, তুই দেখেছস, আমি যে তোর সাথে ওই দিন কথা বলেছি, সেই কল রেকর্ডিংটা ভাইরাল হয়ে গেছে।
মিরাজ: এটা কিভাবে সম্ভব ভাই, এটা কিভাবে হলো।
তামিম: তুই করছস না!
মিরাজ: আরে না ভাই (হাসি), কি বলেন ভাই, সব দোষ কি আমারে দিবেন। কয় আমি করছি।
তামিম: আমিও তো করি নাই, নিজেরটা তো আর নিজে ভাইরাল করব না। যাই হোক-আজকে সবার সামনে এ কারণেই আসা, জিনিসটা কি পুরোটা ব্যাখ্যা করার জন্য।
মিরাজ: হ্যাঁ এটা তো অবশ্যই।
তামিম: যে জিনিসটা মুশফিক করেছে সেটাও তো ভালো করেনি।
মিরাজ: আপনি রাগ কইরেন না, আমি মুশফিক ভাইকে ডাকি। আপনি মুশফিক ভাইয়ের সাথে কথা বলেন। তখন বিষয়টা ক্লিয়ার হবে।
তামিম: মুশফিক ভাইকে তুই ডাকিস না। কথাটা আগে শোন- প্রথম তো যে জিনিসটা ও করেছে; সেটাতো ঠিক না, বিপিএলে পুরো টিমের দায়িত্ব ওর কাঁধে ছিল, আমরা একসাথে খেলব, পরের বছর এক সাথে থাকব এটাই তো প্ল্যান ছিল। ও হঠাৎ করে নিজের একটা দল বানাইছে। আমার কাছে মনে হয় মুশফিক ভাইরে না ডেকে আমাদের বড় ভাইকে (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ) ডাকি। ওনাকে জিনিসটা বলি। উনি বিষয়টা শুনুক, শোনার পর ওনার কি ধারণা উনি বলুক। কারণ এটা নিয়ে আসলে খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। রিয়াদ ভাইরে যদি এড করতে পারি তাহলে ভালো হবে।
তামিম: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই আসসালামু আলাইকুম,
রিয়াদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম।
তামিম: লুকিং ইয়াং মাই ব্রাদার।
রিয়াদ: হাসি, হ্যাঙ্কিউ।
রিয়াদ: মিরাজ কেমন আছিস।
মিরাজ: এই তো রিয়াদ ভাই, আপনি কেমন আছেন।
রিয়াদ: আলহামদুলিল্লাহ, তোরা কেমন আছিস।
মিরাজ: আলহামদুলিল্লাহ।
তামিম: ভাই অন্য একটা বিষয়ে আপনার সাথে কথা বলতে চাই।
রিয়াদ: বলো।
তামিম: সম্প্রতি মিরাজের সাথে আর আমার একটা কল রেকর্ডিং ভাইরাল হয়। মেইনলি যে জিনিসটা ছিল, আপনি জানেন যে আমরা সবশেষ বিপিএলে বরিশালের হয়ে এক সঙ্গে খেলেছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আপনিসহ সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পরের বছরও আমরা বরিশালের হয়ে খেলব। মুশফিক আমাদের টিমের কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল; সেটাতো আপনি জানেন। পুরো টিমের দায়িত্ব সে পালন করেছে। মাঠে টিম পরিচালনাও করেছে। আমার পক্ষ থেকে ওনাকে আমি যথেষ্ট পরিমাণ সম্মান দিয়েছি। ভাই ও আমাদের কাউকে না বলে, এটলিস্ট আমাকেও না বলে আলাদা টিম করেছে এবং টিম নিয়ে অনেক আগায়েও গেছে।
রিয়াদ: তাই নাকি, কেমনে কী?
তামিম: এই পিচ্চি, মিরাজ সব জানে!
রিয়াদ: কিরে মিরাজ, তুই তো আমাকে কিচ্ছু বললি না।
মিরাজ: না ভাই, আমি কিচ্ছু জানি না, আমি হালকা একটু শুনেছি। মুশফিক ভাই যাওয়ার কথা, কিন্তু পুরোপুরি জানতে পারিনি। এখন তামিম ভাই বললেন। তো আমি চাচ্ছি মুশফিক এবং তামিম ভাইকে সামনা সামানি এনে কথা বললে বিষয়টা ক্লিয়ার হওয়া যাবে। কিন্তু তামিম ভাই খুব রাগ করে আছে।
তামিম: হ্যাঁ মিরাজ, তুই মুশফিক ভাইকে ডাক।
রিয়াদ: জিনিসটা তো ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন।
তামিম: কল রেকর্ডিং ভাইরাল হওয়ার কারণে লোকজন আমাকে গালিগালাজ করতেছে।
মিরাজ: মুশফিক ভাইকে ডাকলে বিষয়টা ক্লিয়ার হবে।
মিরাজ: আচ্ছা মুশফিক ভাইকে ডাকতেছি, এই যে আসছে।
তামিম: হ্যা এই, আসছে।
মুশফিক: আসসালামু আল্লাইকুম।
তামিম: তোরে আমি কইছি, আলাদা টিম কইরা লাভ কি?
মুশফিক: আজাইরা আলাপ কইরা লাভ নাই, যেটা আসল কাহিনি সেটা বল।
তামিম: আচ্ছা যেটা আসল কাহিনী সেটা আমি বলি; এবার ঈদে নগদের যে ক্যাম্পেইন আছে, ২৪ জন ব্যক্তি ঢাকায় জমি পাবে। এই মিরাজ শোন, তোর তো আবার জমির নেশা আছে। তবে এখানে ছোট্ট একটা রুলস আছে- যেটা হলো সবাইকে দুইজন করে টিম করতে হবে। আর এই মুশফিক আমার টিম ছেড়ে অন্য টিমে চলে গেছে। বুঝছস মিরাজ! এটা নিয়েই হলো পুরো কাহিনী। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই নাটকটা যে সাজাইছে, আর আমাকে দিয়ে যে নাটকটা করাইছে তাকে আমরা ইনভাইট করি। তার মুখেই শুনি কী কারণে কাজটা করাইল, আমাকে এতগুলো গালি শুনাইল।
তামিম: আমরা ওনাকে (ভিডিও কলে) এড করতে পারি। তানভির ভাই আপনাকে সালাম।
মুশফিক: তামিম তুইতো নগদের এই টিম নিয়ে পড়ে আছিস। আমার ইসলামী ব্যাংকের আলাদা একটা টিম আছে।
তানভির এ মিশুক: তামিম গালি কেমন খাইলেন।
তামিম: আপনি একটু ফেসবুক পেজটা দেখেন, কেমন গালি খাইলাম। লোকজন আমাকে কি করতেছে। এখন বলেন পুরো কাহিনি কী?
তানভির এ মিশুক: নগদতো সব সময় চমক নিয়ে আসে। গতবার একটা বিএমডব্লিউ দিয়েছে, সেটা দিয়েই পুরো দেশে আলোড়ন তৈরি করেছে। এবার নগদ নতুন ভিশন নিয়ে আসছে; এখানে লাখ লাখ মানুষ উইনার হবে। তবে এদের মধ্যে ২৪ জন মানুষ ঢাকায় জমি পাবে। নগদের যারা পার্টনার আছে তারা সবাই মিলে ২০ কোটি টাকার বড় বড় গিফট নিয়ে আসছে।
তামিম: এই মিরাজ, জমি... জমি (হাসি)।
মিরাজ: তানভির ভাই, সুমন ভাইকে দেখলাম এক, দুই, তিন বলে, জমির উপর লাফাইতে ছিল। এর মানি কী?
তানভির এ মিশুক: এক, দুই এবং তিন-তিনটা ডিজিট রাখা হয়েছে। এক- হচ্ছে নগদে লেনদেন করতে হবে। দুই হচ্ছে- নগদে লেনদেন করার পর একটা গ্রুপ খুলতে হবে, গ্রুপটা তিনজনের হবে। আর তিন হচ্ছে- এই তিনজন মানুষ সারা মাসব্যাপী অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। তাহলেই ২৪টা জমি আর ২০ কোটি টাকার গিফট পাওয়া যাবে।
মাহমুদউল্লাহ: তানভির ভাই আমার একটা প্রশ্ন ছিল; যেহেতু আমরা সবাই নগদের সঙ্গে আছি, আমাদের জন্য কী এই সুযোগটা বহাল থাকবে? আমরাও কি জিতবে পারব।
তানভির এ মিশুক: শুধু আপনারাই না, বাংলাদেশের যে কোনো মানুষ জিততে পারবে। তামিম ভাইয়ের গ্রুপ থেকে আলাদা হয়ে সাকিব ভাইরে গ্রুপেও যেতে পারেন!
তামিম: আমিও সেই (সাকিবের) গ্রুপে যেতে পারি। তানভির ভাই- রিয়াদ ভাই যেটা বলতেছে, আমরাও যদি আবেদন করি তখন আপনি আবার বলবেন নাকি; ভাই আপনাদের দিলে তখন মানুষজন মনে করবে আমি ইচ্ছা করেই দিতেছি।
তানভির এ মিশুক: এটা সবাই পাবে, কোনো সমস্যা নেই আপনারাও আবেদন করতে পারেন।
মাহমুদউল্লাহ: রিয়েলি, ভেরি গুড।
তামিম: প্রথমে বাইক, এরপর আইফোন এরপর বিএমডব্লিউ গাড়ি দিলেন। পরের বছর কি দিবেন?
তানভির এ মিশুক: পরের বছরেরটা সারপ্রাইজ থাকুক! আশা করি অনেক বড় কিছু হবে। আপনারা জানেন নগদের ব্যাংক আসতেছে। মুশফিক ভাই কিন্তু নগদ ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক নিয়ে মক্কা-মদিনা যাচ্ছেন। সো অনেক কিছুই হতে পারে।
তামিম: মুশফিক ভাই ইসলামী সাইডটা যেভাবে হ্যান্ডেলিং করতেছেন, আর আপনারা যেভাবে ম্যানেজ করতেছেন মাশাআল্লাহ এটা খুবই ভালো। আল্লাহর ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না।
তামিম তখন ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন; আশা করি আমার ওই কল রেকডিং কেনো করা হয়েছিল আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন। এখানে আমাদের সাথে কারো কোনো ঝগড়া হয়নি। আর এই জমি জিতার চান্সটা আপনারা নিতে পারেন। তিনটা রুলস আছে আপনারা তা ফলো করবেন।