বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে ১২ ডিসেম্বর। সেদিন কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কোর্টে মামলাটির চার্জ গঠন হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) একজন আইনজীবীর মৃত্যু হওয়ার কারণে হালদারসহ পাঁচজনকে আদালতে তোলা হলেও মামলাটির শুনানি হয়নি।
২০২২ সালের ১৩ মার্চ কলকাতার অদূরে উত্তর ২৪ পরগনা এলাকা থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত পি কে হালদার। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার সঙ্গে আরও গ্রেফতার হন চারজন। এর মধ্যে পি কে হালদারের নিজের ভাই, দুই ভাগ্নি এবং কথিত এক বান্ধবী রয়েছে। সূত্র সময় টিভি।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এই মামলাটি তদন্ত শুরু করে এবং মামলার ৮৪ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করে। প্রায় ২০ মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে বন্দী রয়েছেন পি কে হালদারসহ আরও চারজন।
আলোচিত পিকে হালদার গ্রেফতার হওয়ার পর প্রশ্ন উঠে কবে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে। তবে গেল ২০ মাসেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে এ সংক্রান্ত কোনো আবেদন জমা পড়েনি।
তাছাড়া মামলাটি বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। আগামী ১২ ডিসেম্বর চার্জ ফ্রেমের মধ্য দিয়ে বিকে হালদার এর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি দমন আইনে হওয়া মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাই আইনগতভাবেই বাংলাদেশে ফেরানোর বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।