কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে সারাপৃথিবীর বাজার এবং নিজেদের বাজার পরিস্থিতি দেশের ভিতরে বসেই দেখা যাচ্ছে। এতে আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম।
সোমবার (৫ই ডিসেম্বর) ইআরএফ মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুস রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম যে চৌধুরী এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকারস এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সহ-সভাপতি মো.মনিরুজ্জামান।
বিএসইসির চেয়ারমান বলেন, আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা কর্মসংস্থান। ভালো লোককে, ভালো বেতন দিয়ে ভালো কর্ম ঠিক করে দেয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছিলাম। ঠিক সে সময় এমন একজায় যুদ্ধ বেঁধে গেলো, সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়লো। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃদ্ধি গ্যাস, জ্বালানি তেল হোল্ড করে এমন দেশ যুদ্ধে গেছে। যেখান থেকে বেসিক ফুডগুলো বিভিন্ন দেশে যায়, সেই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে গেলো। তার সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশে প্রভাব পড়তে শুরু করলো।
তিনি বলেন, জ্বালানির ওপর যখন প্রভাব পড়ে, তখন সারা পৃথিবীর অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে। যুদ্ধ শুরুর পর যে ধাক্কা আসলো তাতে আমাদের সবকিছুতে অন্যরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো। যেখানে আমাদের বিদ্যুতের সারপ্লাস, সেখানে লোডশেডিংয়ের ধাক্কা আসলো। যে দেশের মানুষ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, সেই দেশে আমাদেরকে সরকারিভাবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এতো বড় ঘটনা পৃথিবীতে ঘটে গেছে, যা আমাদের কোনো রকমের বিচার-বিশ্লেষণ, ক্ষমতা বা আমাদের কোনো রকম কিছু করার বাহিরে। এই ধাক্কায় তিনটা প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে। চার-পাঁচটা দেশের লিডারশিপ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সে রকম পরিস্থিতিতে আমরা পরিড়িনি।
শিবলী বলেন, যে ধাক্কা আমাদের লাগার কথা ছিলো, তার থেকে কম লেগেছে। সরাপৃথিবীতে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৮০-৯০ শতাংশ। আমাদের দেশে ঠিক উল্টো। যেখানে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, সেখানে আমাদেরকে প্রটেকশনের ব্যবস্থা নিতেই হবে। সে কারণে আমরা ফ্লোর প্রাইস দিয়ে সাময়িক একাটা ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নিজেদের যদি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হয়ে যায়, তখন আপনারা এখানে বসেই দেখতে পারবেন ঘানায় আজকে চালালের দাম কতো বা আমাদের গার্মেন্টস পণ্য কোন দেশ কতো দামে নিতে চায়। আমরা এখানে বসেই সারাপৃথিবীর বাজার এবং নিজেদের বাজার দেখতে পারবো। তখন আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ থাকবে না।