এবারের এশিয়া কাপে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল হিসেবে খেলতে নামছে পাকিস্তান। অন্যদিকে শক্তিমত্তায় তাদের চেয়ে পিছিয়ে নেই ভারত। তবে সবাইকে চমকে দিতে পারে আফগানিস্তান বা বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বিচার বিশ্লেষণ করেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি বাংলাদেশের মাঝে ৯০ এর দশকের ভারতের ছায়া দেখছেন সে সময় ভারতীয় দলে এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার ছিলেন। যারা সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হতাশ করতো সমর্থকদের। বাংলাদেশ এরই মধ্যে নিজেদের অবস্থান প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আফগানিস্তান তুলনামূলক নতুন দল হলেও তারাও নিজেদের শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলাদেশ নিয়ে নিজের মন্তব্য জানিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় দুর্দান্ত সম্ভাবনা নিয়ে আসে। তারা আমাকে ১৯৯০ সালের ভারতের কথা মনে করিয়ে দেয়। যে দলের অসাধারণ সম্ভাবনা, বিশাল আশা, দারুণ আগামী। কিন্তু বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তান দ্রুত এগিয়েছে । কোন এক কারণে সেরকম তারকা বোলার বা তারকা ব্যাটার তারা তৈরি করতে পারেনি। তবে তারকা অলরাউন্ডার আছে সাকিব আল হাসান। সে ব্যাটে-বলে এখনো অবদান রেখে চলেছে। অধিনায়ক হিসেবে সে ফিরল।’
এশিয়া কাপের আগে পিঠের ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। জ্বরের কারণে শেষ মুহূর্তে দল থেকে ছিটকে গেছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের গুরু দায়িত্ব থাকবে মুশফিকুর রহিমের কাঁধেই। তবে তরুণ তাওহীদ হৃদয়ের দারুণ সম্ভাবনা আছে নিজেকে উজাড় করে দেয়ার। অশ্বিন মনে করেন এশিয়া কাপে ভালো করতে পারলেই হৃদয় নিজেকে ব্যাটিং সুপারস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
হৃদয়ের প্রশংসা করে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমি তাওহীদ হৃদয়ের কথা বলবো। সে ৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। ৪৮.২৫ গড়ে ব্যাটিং করেছে। আসন্ন এশিয়া কাপ তার খুব বড় একটি পরীক্ষা হবে। সে যদি এশিয়া কাপে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি মনে করি এই টুর্নামেন্ট শেষে একজন ব্যাটিং সুপারস্টার পেতে চলেছে।’
বাংলাদেশকে কন্ডিশন নির্ভর দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ একটি কন্ডিশন নির্ভর দল। তারা যখন মিরপুরে খেলে তখন তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম খেলে। যখন তারা বাইরে খেলতে যায় তখন তাদের ব্যাটিং এবং বোলিং কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে কিনা সেটার দেখা লাগে। কোনো সময় তারা মানিয়ে নেয় আবার কোনো সময় তারা সেটা পারে না।’