শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ান ব্যাংক ধীরে ধীরে তলানির দিকে যাচ্ছে। যে ব্যাংকটি এরইমধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি প্রভিশনিং (সঞ্চিতি) ঘাটতিতে পড়েছে। যা আগামি ৫ বছরের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। অথচ ব্যাংকটির বিগত ৫ বছরে তার চেয়ে মুনাফার পরিমাণ কম।
ব্যাংকটির গত ৫ বছরে ৭৮৮ কোটি ৫১ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। অথচ ব্যাংকটিকে এখনকার জন্যই আগামি ৫ বছরে ১ হাজার কোটি টাকার উপরে সঞ্চিতি গঠন করতে হবে। যা স্বাভাবিকভাবেই আগামি ৫ বছর ব্যাংকটি মুনাফায় বড় ধাক্কা খাবে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ওয়ান ব্যাংকের জন্য মোট ১ হাজার ১২১ কোটি ১০ লাখ টাকার সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে অখেলাপি ঋণের জন্য ৫৬ কোটি ৪ লাখ টাকা ও খেলাপি ঋণের জন্য ১ হাজার ৬৫ কোটি ৬ লাখ টাকার সঞ্চিতি গঠন করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে ব্যাংকটির ২ হাজার ১৪৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার সঞ্চিতি গঠন করা দরকার। এ হিসাবে ব্যাংকটিতে ১ হাজার ২৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার সঞ্চিতি ঘাটতি রয়েছে। যা সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩০ এপ্রিল ওয়ান ব্যাংককে ৫ বছর সময় দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ান ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৯৮০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৭.৯৬ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (০৩ জুন) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১০.০০ টাকায়।