পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার দলের নেতা ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, ওমর আইয়ুব খান জোটে সম্মত হওয়া ইমরান খানের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়বেন।
৫৬ বছর বয়সী ওমর আইয়ুব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবেন। যারা এই সপ্তাহের শুরুতে জোটে সম্মত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী পদে ভোটের পাশাপাশি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্যরা নতুন স্পিকার নির্বাচন করবেন।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সব নতুন সদস্য তাদের শপথ নেওয়ার পরে এবং স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পরে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভোট হবে।
গত সপ্তাহের নির্বাচনে খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা অপ্রত্যাশিতভাবে সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছিল, কিন্তু সরকার গঠনের জন্য তাদের যথেষ্ট আসন ছিল না।
এর ফলে সব দলদের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি শুরু হয় কারণ পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার গঠনের করতে হবে।
খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের একজন শীর্ষ নেতা আসাদ কায়সার কারাগারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য ঘোষণা করেছিলেন।
আইয়ুবের নামে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ থাকায় তিনি এখন পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। গত বছর ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে এই অভিযোগটি হয়। তবে এটি তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদের প্রার্থীর জন্য অযোগ্য করবে না।
ওমর আইয়ুব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্ত করাই তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে। তিনি গত সপ্তাহের নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র হিসেবে জিতেছেন।
ওমর আইয়ুব সামরিক স্বৈরশাসক মোহাম্মদ আইয়ুব খানের নাতি, যিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।