ওপেকের জ্বালানি তেল উত্তোলন কমেছে নভেম্বরে। শীর্ষ রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় সদস্য দেশ উত্তোলন বাড়াতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থায় রয়টার্সের এক সমীক্ষায় বলা হয়, ওপেকের মিত্র জোট ওপেক প্লাস উত্তোলন আগের তুলনায় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খারাপ হতে থাকা অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাই ছিল এর মূল্য উদ্দেশ্য। এ ধারাবাহিকতায় গত মাসে উত্তোলন কমেছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোটটি গত মাসে দৈনিক ২ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। অক্টোবরের তুলনায় উত্তোলন দৈনিক ৭ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল করে কমেছে। অথচ সেপ্টেম্বরে জোটটির উত্তোলন বেড়ে দুই বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।
করোনা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে চাহিদা ঘুরে দাঁড়ানোয় ওপেক ও এর মিত্র জোট ওপেক প্লাস এ বছরের বড় একটি সময়জুড়েই জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়ে আসছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় সম্প্রতি জ্বালানি তেলের বাজার নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। এ কারণেই উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি। ২০২০ সালে কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর এত বেশি মাত্রায় আর উত্তোলন কমানো হয়নি।
নভেম্বরে ওপেক প্লাস উত্তোলন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল করে কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। এর মধ্যে ওপেকের ১০ সদস্য দেশের দৈনিক ১২ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলনের কথা ছিল।
এদিকে প্রায় প্রতি মাসেই উত্তোলন লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে ওপেক। বিশেষ করে অ্যাঙ্গোলা ও নাইজেরিয়ায় উত্তোলন তলানিতে। অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও চুরির কারণে এসব দেশের উত্তোলন সক্ষমতা কমছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এক মাসের ব্যবধানে ১০ সদস্য দেশের উত্তোলন দৈনিক ৭ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল করে কমেছে।
গত মাসে সৌদি আরব অক্টোবরের তুলনায় দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন কমিয়েছে। উত্তোলন কমানোর দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে আছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত।