চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন– ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার আব্দুর রহমানের ছেলে সারওয়ার আলম (৫১) ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাশেদ জাওয়ারদার (২২)। তাদের মধ্যে সারওয়ার সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন এবং তিনি পাওয়ার প্ল্যান্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া রাশেদ পাওয়ার প্ল্যান্টের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার রাতে চুরি করে পালানোর চেষ্টাকালে দুজনকে বাঁধা দেন ভুক্তভোগীরা। এসময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীদের ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এস আলমের বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে জনসভায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন
চট্টগ্রামে বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
‘শাটডাউনে’ চমেক হাসপাতালেও বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা, ভোগান্তিতে রোগীরা
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের তীরে গণ্ডামারায় ৬০৬ একর জমিতে গড়ে উঠেছে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেনাবেচা সংক্রান্ত চুক্তিও সই হয়। ওই বছরই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং।
প্রকল্পের দুটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের মালিক এস আলম গ্রুপের ছয়টি প্রতিষ্ঠান। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশের মধ্যে সেপকো ২০ শতাংশ ও চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান এইচটিজি ১০ শতাংশের মালিক। গত বছরের শুরুর দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে সীমিত পরিসরে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।