এস আলম গ্রুপের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত ইসলামী ব্যাংকের ৬ ডিএমডিসহ ৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়।
বরখাস্তরা হলেন- অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া আইবিটিআরএ প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৬ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলো আর কোনো গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।
এসব ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে গেছে। আর ওই টাকার বড় অংশই বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে বিদায় নেওয়া আওয়ামীলীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারের প্রশ্রয়ে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) ব্যাংকিং খাতে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এক ব্যক্তিতে পরিণত হন। খোদ ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগসাজশ ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে ব্যবহার করে ব্যাংক দখল, একাধিক ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়া, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণের আড়ালে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেন তিনি।
এমন বেপরোয়া লুটতরাজে ব্যাংকগুলো রুগ্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় তীব্র তারল্য সঙ্কট। তাদের চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। আইন অনুসারে, এমন অবস্থায় কোনো ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আইনকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেন।