এশিয়ার স্পট মার্কেটে চলতি সপ্তাহে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দর আরও কমেছে। ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর যা সর্বনিম্ন। এশিয়াজুড়ে চাহিদা কমায় এই নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগামী এপ্রিলের এলএনজির গড় সরবরাহ মূল্য ব্যাপক নিম্নমুখী হয়েছে। এ সপ্তাহে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের (এমএমবিটিইউ) দাম স্থির হয়েছে ১৩ ডলার ৫০ সেন্টে। আগের সপ্তাহ থেকে যা ১ ডলার বা ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কম। বৈশ্বিক শিল্প কারখানা সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সবমিলিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এলএনজির ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। সেই হারের পরিমাণ ৪২ শতাংশেরও বেশি। কারণ, জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা ব্যাপক দুর্বল রয়েছে।
গত আগস্টে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ওঠে ৭০ ডলার ৫০ সেন্টে। ইতিহাসে যা ছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সেই গ্যাসের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৮১ শতাংশ।
ট্রিডেন্ট এলএনজির বৈশ্বিক ব্যবসার প্রধান টবি কপসন বলেন, স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম তলানিতে পৌঁছেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনকে যা কিনতে উৎসাহিত করেছে। ইতোমধ্যে ২ কার্গো এলএনজির ক্রয়াদেশ দিয়েছে দেশটি।
করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় চীনে পুরোদমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে দেশটিতে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে গ্যাসের দাম কমেছে। সেই সুযোগে সরবরাহ বাড়াচ্ছে চীন।